অযৌন জননের ৫টি পদ্ধতি – উদাহরণসহ সহজ বর্ণনা
✅ অযৌন জনন (Asexual reproduction) হলো এমন জনন, যেখানে একটিমাত্র অভিভাবক (parent) থেকে নতুন প্রাণী বা উদ্ভিদ তৈরি হয়, যৌন কোষের (gamete) প্রয়োজন হয় না।
✅ ১️⃣ দ্বিখণ্ডন (Binary fission)
👉 বর্ণনা:
-
একটি এককোষী প্রাণী সমান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি নতুন প্রাণীতে পরিণত হয়।
-
এটি খুব সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি।
✅ উদাহরণ:
-
আমিবা (Amoeba)
-
প্যারামিসিয়াম (Paramecium)
✅ ২️⃣ মুকুলন (Budding)
👉 বর্ণনা:
-
মূল দেহ থেকে একটি ছোট কুঁড়ি বা মুকুল বের হয়।
-
সেটি বড় হয়ে আলাদা হয়ে যায় (বা কখনও জোড়া থাকে)।
✅ উদাহরণ:
-
ইস্ট (Yeast)
-
হাইড্রা (Hydra)
✅ ৩️⃣ খণ্ডন (Fragmentation)
👉 বর্ণনা:
-
দেহ ভেঙে ছোট টুকরো হলে প্রতিটি টুকরো থেকে নতুন পূর্ণাঙ্গ জীব তৈরি হয়।
-
এটি বহুকোষী সরল প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়।
✅ উদাহরণ:
-
স্পাইরোজাইরা (Spirogyra, শৈবাল)
-
প্ল্যানেরিয়া (Planaria)
✅ ৪️⃣ স্পোর জনন (Spore formation)
👉 বর্ণনা:
-
স্পোর নামের ক্ষুদ্র, হালকা, টিকে থাকা কোষ তৈরি হয়।
-
অনুকূল পরিবেশে স্পোর থেকে নতুন গাছ বা ছত্রাক জন্মে।
✅ উদাহরণ:
-
ছত্রাক (Fungus)
-
ফার্ন (Fern)
✅ ৫️⃣ ভেজেটেটিভ পুনরুত্পাদন (Vegetative propagation)
👉 বর্ণনা:
-
উদ্ভিদের কোনো অংশ (মূল, কাণ্ড, পাতা) থেকে নতুন গাছ জন্মে।
-
বীজ ছাড়াই হয়।
✅ উদাহরণ:
-
আলু (Potato) – কাণ্ডের গুটি/টিউবার
-
আদা (Ginger) – রাইজোম
-
ব্রায়োফাইলাম (Bryophyllum) – পাতার কোণে কুঁড়ি
✅ উপসংহার
সংক্ষেপে মনে রাখবে —
অযৌন জননের ৫টি পদ্ধতি হলো:
১️⃣ দ্বিখণ্ডন
২️⃣ মুকুলন
৩️⃣ খণ্ডন
৪️⃣ স্পোর জনন
৫️⃣ ভেজেটেটিভ পুনরুত্পাদন
✅ এগুলো এক অভিভাবকের মাধ্যমে হয়, যৌন কোষের দরকার হয় না।
✅ ✅ এক লাইনে মনে রাখার জন্য:
“এক অভিভাবক → বীজ ছাড়া → নতুন প্রাণী বা উদ্ভিদ।”
No comments:
Post a Comment